ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানে না

বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় : ১৯-০৩-২০২৪ ০১:২৬:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৯-০৩-২০২৪ ০১:২৬:৫৪ অপরাহ্ন
আ.লীগ নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানে না ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকের রাজনৈতিক কর্মীরা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানেন না, সততা মানেন না, নির্দেশনা মানেন না, জীবন দর্শন থেকে শিক্ষা নেন না, আর আপনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক! এই দাবি কেন করেন? সৈনিক হলে চরিত্রবান হতে হবে, সৎ হতে হবে।

সোমবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সভায় সভাপত্বি করেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী কেমন জীবনযাপন করেন, আপনারা কি দেখেন না? গণভবনে থাকেন। রাত ২টায় আপনি ফোন করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পান, এটা অবাক বিষয়। তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান, বাকি সময় দেশের কথা ভাবেন। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। এ দেশে দুজন মানুষ মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকবেন। একজন বঙ্গবন্ধু, আরেকজন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতার লাশ সিঁড়িতে পড়ে ছিলো। গোপালগঞ্জে নিয়ে ৫৭০ সাবান আর রিলিফের কাপড় বঙ্গবন্ধুর দাফনে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৮-১৯ জন লোককে জানাজা পড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তারা ভেবেছিলো ঢাকা থেকে দূরে টুঙ্গিপাড়ায়, সেই অজপাড়াগাঁয়ে বঙ্গবন্ধুকে মাটিচাপা দিলে বাংলাদেশ ভুলে যাবে। তাদের হিসাবের অঙ্ক কত যে ভুল, আজ টুঙ্গিপাড়া বাঙালির তীর্থখ্যাত, ৩২ নম্বরে জনতার ঢল নামে। শুধু ১৭ মার্চ নয়, প্রতিদিন বঙ্গবন্ধুর নামে সারা বাংলাদেশ থেকে ছুটে আসে অসংখ্য মানুষ।

    পার্টি নয়, ইফতার বিলিয়ে দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রীপার্টি নয়, ইফতার বিলিয়ে দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ জাতির পিতা। আমরা কী শিখবো তার কাছে? আমাদের রাজনীতি, আমরা কীভাবে শিক্ষা গ্রহণ করবো? রাজনীতিতে যে যোগ্যতা প্রয়োজন, তা কীভাবে অর্জন করবো। আমি বলবো, এ দেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা, সাহস রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। সততা শিখবেন, সাহস জানবেন-বঙ্গবন্ধুর পরিবারের দিকে তাকান, বঙ্গবন্ধুর দিকে তাকান, শেখ হাসিনার দিকে তাকান, শেখ রেহানার দিকে তাকান, সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকে তাকান, সায়েমা ওয়াজেদের দিকে তাকান।

তিনি বলেন, এখানে হাওয়া ভবন নেই, এই দেশে কোনও হাওয়া ভবন নেই। ১৫ বছরেও অলটারনেটিভ পাওয়ার সেন্টার এ দেশে কেউ করেনি। লেখাপড়া করেছেন অক্সফোর্ড, হার্ভার্ডে। এই পরিবারের সন্তানেরা মেধাবী। যে যেখানে আছে, সেখানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মেধা দিয়ে, গায়ের জোরে নয়, লুটপাট করে নয়, দখল করে নয়, অর্থপাচার করে নয়। এই পরিবার সততার প্রতীক। প্রত্যেকেই সততার আদর্শে উজ্জীবিত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশে আসেন আবার চলে যান। নীরবে আসেন, নিঃশব্দে চলে যান। কেউ টেরও পায় না। কিন্তু তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটা নিঃশব্দ বিপ্লব হচ্ছে, আইসিটি বিপ্লব। এই বিপ্লবের স্থপতি হচ্ছেন জয়। প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নীরবে আবার চলে যাচ্ছেন, কোনো সাড়াশব্দ নেই। এই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু পরিবার। শেখ রেহানার আজ লন্ডন শহরে নিজস্ব কোনো গাড়ি নেই। বাসে চড়ে, ট্রেনে চড়ে যাতায়াত করেন। আমাদের নেত্রী বলেন, 'সিমপল লিভিং, হাই থিংকিং'। এই মেথডে কর্মীদের উজ্জীবিত হতে হবে। এটা বঙ্গবন্ধুর মূলমন্ত্র, আমাদের নেত্রীর বক্তব্য এবং তার নির্দেশনা।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী।tv/71

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ